রহমত নিউজ 01 May, 2023 02:35 PM
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, সকল উন্নয়ন ও অগ্রগতির কর্ণধার শ্রমজীবী মানুষকে বঞ্চিত করে দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন কখনো সম্ভব হবে না। শ্রমিকদের ঘামকে পুঁজি করে একশ্রেণির মানুষ রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে বটগাছে পরিণত হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষে বিশ্বব্যাপী শ্রমিক দিবস পালিত হচ্ছে। কিন্তু ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন না থাকায় শ্রমজীবী মানুষ আজও অধিকার বি ত।
আজ (০১ মে) সোমবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ ও র্যালী পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা খলিলুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর পশ্চিম সভাপতি আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ছাত্রনেতা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, শ্রমিকনেতা এইচ এই রফিকুল ইসলাম, কেএম বেলাল হোসেন, যুবনেতা ইলিয়াস হোসাইন, মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ ওবায়দুল্লাহ বরকত, হাফেজ শাহাদাত হোসাইন প্রধানিয়া প্রমুখ।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি ও আদর্শের আলোকে দেশ পরিচালিত না হওয়ায় রাজনৈতিক নিপীড়ন থামছে না। বিনা ভোটের বর্তমান সরকারের কাছ থেকে কোন দাবি আদায় সম্ভব নয়। এজন্য সর্বত্র আল্লাহভীরু নেতা নির্বাচিত করতে হবে। তিনি বলেন, ইসলামের নীতি আদর্শ অনুযায়ী দেশ পরিচালিত না হওয়ায় দেশ এখন দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সর্বত্র দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকের ছড়াছড়ি। এমতাবস্থায় একটি উন্নত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া মানবতার মুক্তি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতিতে আকুন্ঠ নিমজ্জিত। দেশের টাকা বিদেশে পাচারে বর্তমান সরকার অতীতেরর সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতি করছে, বিদেশে টাকা পাচার করছে। সুইস ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করার পর তাদের একাউন্ট তলব করা হয় না। তিনি বলেন, রাজনীতিতে আদর্শিক ও গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। শ্রমিকরা তাদের শ্রমের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের উর্র্ধ্বগতির বাজারে শ্রমিকদের যে পারিশ্রমিক দেয়া হয়, তাতে সংসার চলে না। তিনি বলেন, দেশে ক্ষমতা ও রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াই দৃশ্যমান। যার বলি হচ্ছে সাধারণ শ্রমিকরা। এ জন্য পীর সাহেব চরমোনাইর নেতৃত্বে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক শ্রেণী আজ নির্যাতিত, নিপিড়িত, শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বি ত। তাদের পাওনা পরিশোধ করছে না মালিক। এই বৈষম্য নীতি পরিবর্তনের লক্ষ্যে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন মাঠে ময়দানে সদা সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে।